বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:১০ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক॥
সরকারি সেবা পেতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে ঢাকায় চালু হলো নতুন উদ্যোগ—’নাগরিক সেবা কেন্দ্র’। এখন থেকে নাগরিকরা জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), পাসপোর্ট, ভূমি সেবা এবং ট্রেড লাইসেন্সসহ প্রাথমিকভাবে পাঁচ ধরনের জরুরি সরকারি সেবা হয়রানি ছাড়াই সহজেই পাবেন।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এসব কেন্দ্রে অনলাইনে সব সেবা এক ছাদের নিচে পাওয়া যাবে। এর ফলে সেবাগ্রহীতাদের আর বিভিন্ন সরকারি অফিসে গিয়ে হয়রানি বা দালালদের খপ্পরে পড়তে হবে না। এই কেন্দ্রগুলো সরকারি ব্যবস্থাপনার অধীনে পরিচালিত হবে, যেখানে সেবার মান ও সময়মতো কাজ সম্পন্ন করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রথম পর্যায়ে ঢাকার গুলশান, উত্তরা এবং নীলক্ষেতে তিনটি কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এক বছরের মধ্যে সারা দেশে ১০০টি নাগরিক সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এসব কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে অনুমোদিত উদ্যোক্তাদের হাতে, যা একই সঙ্গে সামাজিক ব্যবসা প্রসারেও সহায়ক হবে।
উদ্বোধনী দিনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত ও সহকারীরা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন। তারা জানান, এই বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে মানুষ এখন এক জায়গা থেকেই একাধিক সেবা নিতে পারবে, যা নাগরিকদের সময় ও শ্রম বাঁচাবে। ফি আদায়, তথ্য সংরক্ষণ এবং সময়মতো সেবা নিশ্চিত করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
নাগরিকদের যেকোনো সহায়তার জন্য ইতোমধ্যেই সরকারের ৩৩৩ হটলাইনটি চালু রয়েছে। এই উদ্যোগ সরকারি সেবাকে আরও সহজ, স্বচ্ছ এবং জনমুখী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।